Keep Your Skin Youthful With Six Magic Ingredients (bd)

মুখ থেকে বয়সের ছাপ দূরে রাখার জন্য কত কাঠখড়ই না পোড়াতে হয়! দামি অ্যান্টি-এজিং ক্রিম, নিয়মিত ফেশিয়াল তো আছেই, কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের পথেও হাঁটেন অনেকে। কিন্তু একটু আগে থেকে যদি সাবধান হওয়া যায়, তা হলে বহুদিন পর্যন্ত ত্বক তরুণ রাখা সম্ভব। নিচে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি এমন কিছু ম্যাজিক উপাদানের হদিশ যা আপনার নিয়মিত রূপ-রুটিনে যোগ করে নিলে বহু বছর পর্যন্ত ত্বক থাকবে সতেজ, চিরতরুণ।

জোজোবা তেল
সুন্দর ত্বক আর চুলের জন্য জোজোবা তেলের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। ত্বকে নিয়মিত জোজোবা তেল মাখলে পরিবেশজনিত ক্ষতি অনেকটাই সামাল দেওয়া যায়। তেলতেলে ভাব আর ব্রণও প্রতিরোধ করে জোজোবা তেল। ফাটা ঠোঁট বা নখের শুকনো কিউটিকলে প্রাণের সঞ্চার করতেও জোজোবা তেল অপরিহার্য। নারকেল বা অলিভের মতো কেরিয়ার তেলে কয়েক ফোঁটা জোজোবা অয়েল মিশিয়ে মুখে মাসাজ করুন। ত্বকের দীপ্তি অটুট থাকবে।

বেদানা
অ্যান্টি-অক্সিডান্টের ভাঁড়ার হওয়ার সুবাদে শরীরে ফ্রি র‍্যাডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে পারে বেদানা। নতুন কোষ তৈরি করে মুখ থেকে বলিরেখার প্রকোপ দূরে রাখতেও জুড়ি নেই লাল টুকটুকে দানার এই ফলটির। বেদানার বীজ ত্বকের কোলাজেন ভাঙতে দেয় না, ত্বকের টানটানভাব ধরে রাখে এবং মুখের দাগছোপও কমিয়ে দেয়। বেদানার বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন, তা দিয়ে মুখ স্ক্রাব করুন। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি আটকাতেও দারুণ কাজের বেদানার বীজ দিয়ে তৈরি এই স্ক্রাবটি।

রেটিনল
তিরিশের কোঠায় পা দেওয়ার পরেই চোখের চারপাশে সূক্ষ্ম রেখার আনাগোনা শুরু হয়। চোখের নিচে বলিরেখা, কালো ছোপ আটকানোর জন্য এমন ক্রিম ব্যবহার করুন যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ আর রেটিনল রয়েছে। তবে এই ক্রিমটি শুধু রাতে শুতে যাওয়ার আগেই লাগান, ভুলেও দিনের বেলা লাগাবেন না।

গ্রিন টি
স্বাস্থ্যরক্ষাই হোক বা রূপচর্চা, সর্বত্রই সবুজ চায়ের রমরমা। দিনে দু’ থেকে তিনকাপ সবুজ চা খেলে শরীরে অ্যান্টি অক্সিডান্টের পরিমাণ বাড়ে, শরীর থেকে টক্সিন ধুয়ে বের হয়ে যায় এবং নতুন কোষের জন্ম হয়। খাওয়ার বদলে গ্রিন টি মুখে লাগালেও একই উপকার পাবেন। গরম জলে গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে ঠান্ডা করে নিন। তারপর সেই ঠান্ডা টি ব্যাগ চোখের উপরে চাপা দিয়ে বিশ্রাম করুন, চোখ নিমেষে তরতাজা হয়ে উঠবে।

গোলাপজল
বিশুদ্ধ, পরিশ্রুত গোলাপজল ক্লেনজ়ার হিসেবে দুর্দান্ত! রাসায়নিকমুক্ত এই তরলটি ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ধরে রাখে, রোমছিদ্র সঙ্কুচিত করে এবং ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রকোপ কমায়। বলিরেখার আনাগোনা বন্ধ করে ত্বক মসৃণ ও টানটান রাখতেও সিদ্ধহস্ত এই ঘরোয়া উপাদানটি। তুলোয় করে গোলাপজল নিয়ে মুখে মাখুন, টোনিংয়ের কাজ হবে, ত্বক স্নিগ্ধ আর শীতল থাকবে।

রেড ওয়াইন
পরিমিত রেড ওয়াইন পান করলে ত্বকের তারুণ্য অটুট থাকে, এটা বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত। রেড ওয়াইন তৈরি হয় আঙুর দিয়ে, আর আঙুরের খোসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে রেজ়ভেরাট্রোল নামে একটি অ্যান্টি-অক্সিডান্ট থাকে, যা বয়সকে ত্বকের ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেয় না। রেড ওয়াইনে অ্যান্টিসেপটিক আর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে যা ত্বক থেকে যাবতীয় সংক্রমণ দূরে রাখে। মুখ পরিষ্কার করার পর এক চাচামচ রেড ওয়াইনের সঙ্গে এক চাচামচ জল মিশিয়ে টোনারের মতো মুখে মাখুন, ত্বকের টেক্সচারে চোখে পড়ার মতো বদল দেখতে পাবেন।